নিজস্ব প্রতিবেদক
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। হাইওয়ে পুলিশের জনবল ও সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন ‘নিসচা’র ২৭ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুমন্ত্রী একথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ আংশিকভাবে কার্যকর করা হলেও সবার সহযোগিতায় এই আইন অচিরেই পূর্ণাঙ্গ কার্যকর করা হবে।
সড়কের পাশে যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধে পরিকল্পিত বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকক্ষেত্রে অপরিকল্পিত গতিরোধক দুর্ঘটনা ঘটায়, তাই সাড়ে পাঁচশ অপরিকল্পিত গতিরোধক এরই মাঝে অপসারণ করা হয়েছে।
আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনায় অংশ হিসেবে উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে রোড সেফটি অডিট উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত সড়ক ও অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট পরিচালনা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনশ কিলোমিটারে অডিট কার্যক্রম চলমান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত এক যুগে প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা আরো বেশি লেনে উন্নিত করা হয়েছে। গাড়িচালক বিশেষ করে ট্রাক চালকদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে চারটি বিশ্রামাগার।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশের মাঝে সচেতনতার অভাব প্রকট, তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে অধিকতর সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই বেপরোয়া গাড়ি চালানো যাবে না। এক্ষেত্রে গাড়িচালকদের কাউন্সিলিং করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
Leave a Reply