1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

১৩ হাজার ৩০৭ খেলাপি নিয়েছেন বিশেষ সুবিধা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২
  • ২৪০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট:

খেলাপি ঋণ কমানো ও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় টিকে থাকার সুযোগ দিতে মাত্র ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টের খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেয় সরকার। এ বিশেষ সুবিধা নিয়ে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩০৭ জন খেলাপি গ্রাহক তাদের ঋণ নিয়মিত করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা জানান।

খেলাপি ঋণ হ্রাসে উদ্যোগের কথা জানিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দক্ষ ও আধুনিক ব্যাংকিং খাত গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ অন্যতম প্রতিবন্ধক। তাই ঋণখেলাপি সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে একটি উন্নত ঋণ সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভালো ঋণগ্রহীতাদের উত্সাহ প্রদান ও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থাকে সরকার আরো জোরদার করছে।

তিনি বলেন, যারা যৌক্তিক কারণে ঋণখেলাপি হয়েছেন, কিন্তু ব্যবসায় চালিয়ে নিতে চান, তাদের ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় টিকে থাকার সুযোগ দানের লক্ষ্যে মাত্র ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টের ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতপশিলের সুবিধা প্রদান করে ‘ঋণ পুনঃতপশিল ও এককালীন এক্সিট-সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা-২০১৯’ জারি করা হয়েছিল। এ সুযোগ গ্রহণ করে নির্ধারিত সময় অর্থাৎ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩০৭ জন ঋণগ্রহীতা ঋণ নিয়মিত করেছেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

সুদের হার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ব্যাংক ঋণের সুদ হার বাংলাদেশে তুলনামূলক বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কিছুটা পিছিয়ে পড়তে হচ্ছিল।

অন্যদিকে, ঋণখেলাপি বাড়ার একটা অন্যতম কারণ ছিল উচ্চ সুদহার। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিগত অর্থ বছরে ব্যাংক ঋণের সুদ হার এক অঙ্কের (single digit) মধ্যে আনা হয়েছিল

অর্থমন্ত্রী জানান, ঋণপ্রবাহ বাড়াতে ও ব্যাংকে তারল্য ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিগত সুদহার কমানো হয়েছিল। ফলে, ঋণের গড় সুদহার চলতি বছরের মার্চে ৭ দশমিক ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। আমানত ও ঋণের সুদহারের পার্থক্য ফেব্রুয়ারি ২০১১ সময়ের ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে চলতি বছরের মার্চে ৩ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

সুদের হার কমানোর ফলে করোনা অতিমারিতেও ব্যাংক খাতের দক্ষতা বেড়েছে। ২০২১ সালে করোনা অতিমারির মধ্যেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় নিয়ে রেপো হার ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মার্চ মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host