ডেস্ক রির্পোট

করোনাভাইরাসে দেশে নিত্য বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যূবরণ করেছে আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের দাঁড়াল ২ হাজার ২৭৫ জনে। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩ জনে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭০৬ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

অতিরিক্ত মহা-পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৪৯ জনের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৬২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮৬ হাজার ৪০৬ জন।
ব্রিফিংয়ের করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের করোনা আক্রান্ত মায়ের দুধপানে শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়নি। অর্থাৎ, শিশুকে দুধপান করানো যাবে। তবে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।