ডেস্ক রির্পোট
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। এই সময়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৯ জনে। এছাড়া নতুন শনাক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ হাজার ৮২২ জনে। এছাড়া নতুন সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৭ হাজার ৮৬২টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ হাজার ৯০০টি। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৬২ জন। এটা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে গত ১১ মে একদিনে ১ হাজার ৩৪জন শনাক্ত হয়েছিলেন।
নাসিমা আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৯জন। এটাও একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে একদিনে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২জন ও নারী ৭জন। এছাড়া, নতুন ২১৪ জন সুস্থসহ মোট ৩ হাজার ৩৬১ জন সুস্থ হলেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন মৃতদের ১২জন ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া পাবনার ১জন, নারায়ণগঞ্জ ১জন, মুন্সিগঞ্জ ১ জন, নড়াইলের ১ জন, চট্টগ্রামের ২ জন ও কুমিল্লার ১জন বাসিন্দাও আছেন। মৃতদের মধ্যে ০-১০ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুও রয়েছে বলে জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করবেন। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাবেন ও ফুসফুসের ব্যায়াম করবেন।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো ছুটি চলবে ১৬ মে পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯২ হাজার ৮৮৬ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৫ জন। অপরদিকে ১৬ লাখ ২ হাজার ৪৩৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
Leave a Reply