নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চল্লিশ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অন্তত এইটুকু করতে পেরেছি যে, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের হাতে স্বাধীনতা পদক তুলে দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমাদের ৫০ বছর পূর্তি ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা যখন উদযাপন করছি তখন এই স্বীকৃতিটা পেলাম। পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি, সেটুকু ধরে রেখে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, আমি মনে করি সেদিন জাতির পিতার ডাকে যারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, তারা যদি সেদিন সে সাহসটা না দেখাতেন, তাহলে কি আমরা স্বাধীনতা পেতাম? হয়তো সব ব্যর্থ হয়ে যেত। যদিও পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যর্থ করে দিতে বহুবার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল… এমনকি মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো থেকে, যেখানে বঙ্গবন্ধুর নাম আছে অথবা আমাদের স্বাধীনতার কথা বলা আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না একটা স্বাধীন জাতি বা স্বাধীন দেশের নাগরিক, যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে তারা কিভাবে আবার পরাজিত শক্তির পদলেহন করতে পারে। এটা আমি ভাবতেও পারি না। কিন্তু সেই অবস্থায়ই বাংলাদেশকে কিন্তু নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে আজ এটুকু বলতে পারি, যেটা আমাদের সব সময় একটা প্রচেষ্টা ছিল… আমরা স্বাধীন জাতি, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমরা সবসময় বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো, কারো কাছে হাত পেতে না, করুণা ভিক্ষা করে না।
যারা পেলেন স্বাধীনতা পদক
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য মরহুম এ কে এম বজলুর রহমান, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ, মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী; সাহিত্যে মহাদেব সাহা; সংস্কৃতিতে আতাউর রহমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার; সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।
Leave a Reply