আবার পাকিস্তানে মেয়েদের অসুরক্ষার ছবি সামনে এলো। চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর ৮০ ফুট গভীর পরিত্যক্ত কুয়োয় ফেলে দেয় ধর্ষকরা। চারদিন পর সেখান থেকে প্রায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি ছোট্ট ওই শিশুকে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের উত্তরাংশে মনশেরা জেলায়। ওই জেলারই দারবন্দ গ্রামের বাসিন্দা চার বছরের ওই শিশু গত শুক্রবার নিজের বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার বাবা, মা আশপাশের সব জায়গায় মেয়ের খোঁজ করেন। থানায় মিসিং ডায়রিও লেখান। চারদিন পর দারবন্দ থেকে কয়েক মাইল দূরে ৮০ ফুট গভীর পরিত্যক্ত এক কুয়ো থেকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, পরিত্যক্ত ওই কুয়ো থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে তাঁরা উদ্ধারকাজে তৎপর হন। চারদিন পর যখন শিশুকে কুয়ো থেকে তোলা হয় তখন সে সম্পূর্ণ অভুক্ত, ঠান্ডায় কাঁপছিল, শারীরিকভাবেও দুর্বল। স্থানীয় কিং আবদুল্লা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। হাসপাতালের কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। শিশুর বাবা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর মেয়ের। তাঁর আরও অভিযোগ, এরপর ওঘি তহসিল সদর হাসপাতাল বা জেলা হাসপাতাল কোনও হাসপাতালই তাঁর মেয়ের ময়নাতদন্ত করতে চায়নি। এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিস। পাকিস্তানজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও মেয়েদের নিরাপত্তার এই অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন।
Leave a Reply