মোঃ লালচান মাহমুদ : শরনখোলায় পিতার গভীর ষড়যন্তের কারনে মাথা গোঁজার ঠাঁই এক মাত্র বসত ভিটা টুকু হারাতে বসেছে দিন মজুর ফেরদৌস ও আবু নাইম নামের দু, সহোদর । খোঁজ নিয়ে জানাযায়, উপজেলার ধান সাগর ইউনিয়নের খেজুর বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু সাইয়েদ হাওলাদারের প্রথম স্ত্রী ফরিদা বেগম দুই সন্তানকে রেখে ১৯৯৯ সালে মারা যান ।
পরে আবু সাইয়েদ দ্বীতিয় বিয়ে করেন এবং প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে ফেরদৌস ও নাইমকে বঞ্চিত করতে শুরু করেন। এতে ওই দুই ছেলে একজোট হয়ে বাঁধা দিলে পিতার চক্ষুসুল হয়ে ওঠে তারা । এক পর্যায়ে ফেরদৌস ও নাইম ৩নং নলবুনিয়া মৌজার মায়ের প্রাপ্ত অংশের ৮১ শতাংশ জমিতে আলাদা বসত বাড়ি তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করতে থাকে । কিন্তু আবু সাইয়েদ তার দ্বীতিয় সংসারের স্ত্রী সন্তানদের কু পরামর্শে ফেরদৌস ও নাইমের সম্পত্তির উপর লুলুপ দৃষ্টি ফেলে এবং চলতি বছরের আগষ্ট মাসে তার ভাতিজা দেলোয়ার হাওলাদারের স্ত্রী ফাতিমা বেগমের কাছে গোপনে বাড়িটির প্রায় অর্ধেক জমি বিক্রি করে দেন ।এ নিয়ে দন্দ শুরু হলে নাইম বিবাদমান সম্পত্তির সুরাহ পেতে সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা করেন ।আদালত ওই জমিতে নিশেধাঙ্গা জারি করেন ।এতে আবু সাইয়েদ ক্ষিপ্ত হয়ে পুত্র দ্বয়ের বিরুদ্দে শরনখোলা থানায় একটি ষড়যন্ত মুলক মামলা দায়ের করেন । এ ঘটনায় পুলিশ ১৪, নভেম্বর রাতে নাইমকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায় ।
ওই সুযোগে দেলোয়ার ও আবু সাইয়েদের সহযোগী সরোয়ার ,ছত্তার ,সোহান ,আনোয়ার ,ও আঃ রহমান সহ ৬/৭ জন জোট বেঁধে ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে ফেরদৌস ও নাইমের বাড়ি জবর দখল করতে যায়।এ সময় ফেরদৌস বাধাঁ দিলে তাকে উপুর্যপুরি কুপিয়ে জখম করে ও তার স্ত্রী সীমা বেগম পানিতে ফেলে দেয় এবং নাইমের স্ত্রী জেসমিন আকতার এর ডান হাত পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার পাশাপাশি ফেরদৌসের প্রতিবন্দী শিশু ফাহিয়া কে মারপিট করে জমি জবর দখলকারীরা।
এছাড়া বসত বাড়ির গাছ পালা কর্তন সহ ঘরের মুল্যবান আসবা পত্র গুড়িয়ে দিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেন তারা। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ফেরদৌস পুলিশের সাহায্য পেতে মুমুর্ষ অবস্থায় ৯৯৯ নম্বরে দু , দফা ফোন করে সাহায্য চাইলে নির্যাতন কারীদের কবল থেকে তাদের উদ্বার করে শরনখোলা থানা পুলিশ । একই দিন দুপুরে শরনখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক এ আহতদের ভর্তি করা হয় ।তবে ধান সাগর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা মোঃ শামীম মুন্সী সহ ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করে বলেন, থানা পুলিশের রহস্য জনক ভুমিকার কারনে প্রতিপক্ষরা এমন নগ্ন হামলা চালিয়েছে। তারা হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্থির দাাবি করেন । এ ব্যাপারে শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ মুঠো ফোনে জানান ,জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply