নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর মনোহরদীসহ দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পৌরসভাগুলোর মধ্যে ২৯টিতে ভোটগ্রহণ হয় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং ৩১টিতে ব্যালটের মাধ্যমে।
নির্বাচন উপলক্ষে এসব পৌরসভায় শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি ভোটের দিন) রাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের নৌযান (ভোটারদের চলাচলের জন্য ছোট নৌযান চলতে পারবে) ও স্পিড বোট চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে । পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার সদস্যও মাঠে রয়েছে। এছাড়া ভোটার সংখ্যা এক লাখের অধিক হলে চার প্লাটুন, ৫০ হাজারের অধিক তবে এক লাখের নিচে হলে তিন প্লাটুন, ১০ হাজারের অধিক তবে ৫০ হাজারের নিচে হলে দুই প্লাটুন এবং ভোটার সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে হলে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকছে পৌর নির্বাচনে।
সকালে শৈলকুপায় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘষের খবর পাওয়া গেছে এতে কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আগতদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধী রয়েছে। এছাড়া কুমিল্লার চান্দিনায় ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘের্ষে ৪ জন আহত হওয়ার ঘবর পাওয়া গেছে।
এদিকে নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ভোটারদের বাধা, এজেন্টদের বের করে দেওয়া, হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের ৪টি পৌরসভায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই চারটি পৌরসভা হলো বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভা, রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা এবং পাবনার ইশ্বরদী পৌরসভা।
যেসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়- দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ (ব্যালট), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর (ইভিএম), বেলকুচি (ব্যালট), উল্লাপাড়া (ব্যালট), সদর (ব্যালট) ও রায়গঞ্জ (ব্যালট), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ (ব্যালট), কুষ্টিয়া সদর (ব্যালট), কুমারখালী (ইভিএম), ভেড়ামারা (ব্যালট) ও মিরপুর (ব্যালট), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া (ব্যালট) ও কমলগঞ্জ (ব্যালট), নারায়ণগঞ্জের তারাবো (ইভিএম), শরীয়তপুর সদর (ইভিএম), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী (ব্যালট), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ (ব্যালট) ও সদর (ব্যালট), দিনাজপুর সদর (ব্যালট), বিরামপুর (ব্যালট) ও বীরগঞ্জ (ইভিএম), নওগাঁর নজিপুর (ইভিএম), পাবনার ভাঙ্গুড়া (ব্যালট), ফরিদপুর (ইভিএম), সাথিয়া (ব্যালট), ঈশ্বরদী (ব্যালট) ও সুজানগর (ব্যালট), রাজশাহীর আড়ানী (ইভিএম), ভবানীগঞ্জ (ব্যালট) ও কাকনহাট (ইভিএম)।
এছাড়াও সুনামগঞ্জ সদর (ব্যালট), ছাতক (ব্যালট) ও জগন্নাথপুর (ইভিএম), হবিগঞ্জের মাধবপুর (ব্যালট) ও নবীগঞ্জ (ব্যালট), ফরিদপুরের বোয়ালমারী (ব্যালট), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া (ইভিএম) ও মুক্তাগাছা (ব্যালট), মাগুরা সদর (ইভিএম), ঢাকার সাভার (ইভিএম), নাটোরের নলডাঙ্গা (ইভিএম), গুরুদাসপুর (ব্যালট) ও গোপালপুর (ব্যালট), বগুড়ার শেরপুর (ব্যালট), সারিয়াকান্দি (ইভিএম) ও সান্তাহার (ইভিএম), পিরোজপুর সদর (ইভিএম), নেত্রকোনার কেন্দয়া (ইভিএম), মেহেরপুরের গাংনী (ইভিএম), ঝিনাইদহের শৈলকুপা (ইভিএম), পার্বত্য খাগড়াছড়ি সদর (ইভিএম), বান্দরবান জেলার লামা (ব্যালট), টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী (ইভিএম), কুমিল্লার চান্দিনা (ইভিএম), ফেনীর দাগনভূঞা (ইভিএম), কিশোরগঞ্জ সদর (ব্যালট) ও কুলিয়ারচর (ইভিএম), নরসিংদীর মনোহরদী (ইভিএম), নোয়াখালীর বসুরহাট (ইভিএম) এবং বাগেরহাটের মোংলা (ইভিএম) পৌরসভায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করলেও নীলফামারীর সৈয়দপুরের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী (নারিকেল গাছ প্রতীক) মো. আমজাদ হোসেন সরকারের মৃত্যুতে এ পৌরসভার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। এছাড়া তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply