1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

অবশেষে রায়পুরার টেঁটাযুদ্ধের সর্দার সেই সুমেদ আলী গ্রেফতার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ জুন, ২০২১
  • ১০৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে বহুল সমালোচিত নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের টেঁটাযুদ্ধের অন্যতম হোতা ও একাধিক হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী সোমেদ আলী (৫২) কে গ্রেফতার করেছে  র‌্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)-১১। শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে নিলক্ষা ইউনিয়নের আতশ আলী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার (২০ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মো. তৌহিদুল মবিন খান। গ্রেফতারকৃত সুমেদ আলী রায়পুরা থানার নিলক্ষা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত মন্নর আলীর ছেলে।

র‌্যাব জানায়, সুমেদ আলী রায়পুরার চর এলাকার লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান। নিলক্ষা ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলীয় এলাকায় সংঘটিত প্রায় সব টেঁটযুদ্ধে নেতৃত্ব দিতেন এই সুমেদ আলী। এছাড়াও সে জোরপূর্বক চর দখল ও সাধারণ গ্রামবাসীদের সংঘাতে জড়াতে বাধ্য করে আসছিল।

তার বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় করা বিভিন্ন মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। টেঁটাযুদ্ধ, হত্যা, চাঁদাবাজির মাধ্যমে এলাকায় সে দীর্ঘদিন যাবৎ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে আসছে। তার নামে রায়পুরা থানায় একাধিক হত্যা মামলাসহ ১০ (টি) মামলা রয়েছে । যা মধ্যে ৬ (ছয়)টিতে ইতোমধ্যে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়েছে।  সেগুলো হলো রায়পুরা থানায় মামলা নং ২৫ ৯৮)১৩,বি: ট্রা: ৫০/১৪, ১৫(১২)১৬, ৩(৬)১৬, ৫৯(৮)১৭, ৪০(১১)১৮, ২(৬)১৬ ও বি: ট্রা: ১০৬/১৭ এ মামলায়।

এলাকাবাসী জানায়, সুমেদ আলী এলাকয় কথিত বাংলার ভাই বলে পরিচিত। নিলক্ষার টেঁটা সন্ত্রাসের গড ফাদার ও এলাকাবাসীর জন্য মূর্তিমান আতষ্ক সে। টেঁটাযুদ্ধ, হত্যা, চাঁদাবাজি ও দালাল বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রেই মূল হোতা এ সুমেদ আলী। শুধু তাই নয় টেঁটাযুদ্ধ নিয়ন্ত্রনে আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় পৌঁছালে তাদের উপর হামলা চালায় তার নির্দেশ প্রাপ্ত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় তৎকালীন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন সুমেদ আলীর স্ত্রী। পরে তৎকালীন রায়পুরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে এক মাসের কারদন্ড প্রদান করেন। ওই দিনই নৌ পথে পালানোর সময় ৯টি আগ্নোয়াস্ত্রসহ সুমেদ আলীর ভাড়াটিয়া ১৩ সস্ত্রাসী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তার মাত্র ১৫দিন পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তিপায় সুমেদ আলীর স্ত্রী। এদিকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সুমেদ আলীকে প্রধান আসামী করে সরকারী কাজে বাধা ও বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে রায়পুরা থানায় দুই মামলা দায়ের করেছন। বর্তমানে তা আদালতে বিচারাধিন।

সম্প্রতি দেশে জনপ্রিয় আইপি টিভি চ্যানেল জোনাকী টেলিভিশনের অনলাইন ভার্ষণে, নরসিংদীর স্থানীয় সাপ্তাহিক আমরা নরসিংদীবাসীসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকার প্রিন্ট ও অনলাইনে টেঁটাযুদ্ধের সর্দার সুমেদ আলীকে নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলো ফেইজবুকের বেশ কয়েকটি গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী তুলেন ফেইসবুক সমালোচকরা। শুধু ফেইজবুকের পাতায় নয় বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে কাপে ধোয়া তুলছে টেঁটা সর্দার সুমেদ আলী। যা সাম্প্রতিক সময়ে টক অব দ্যা নরসিংদীতে পরিণত হয়।

দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি চৌকশদল সুমেদ আলীকে গ্রেফতার করে। এসময় তার নিকট থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তাকে রায়পুরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..