প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ ২৬ জুন ২০২১ইং রোজ শনিবার সকাল ১০.৩০টায় ২২/১, তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব মাদকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশনের প্রধান স্বেচ্ছাসেবক এড. আবু বকর ছিদ্দিক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ- ১১ ভালুকার সংসদ সদস্য আলহাজ কাজীম উদ্দিন আহমেদ ধনু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ কাজীম উদ্দিন আহমেদ ধনু বলেন, বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বর্তমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন তারই জলন্ত প্রমাণ। মাদকের ব্যবহার রোধকল্পে সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি সেক্টরে মাদকের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে পারে।
উদ্বোধক হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি এম. ফারুক।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের বাণিজ্য নীতি বিভাগের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকেরুল আবেদীন, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এড. এ কে এম শফিকুল মবিন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এড. মো. ইয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী এড. জাকির হোসেন ভূইয়া, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং চৌধুরী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে যুব সমাজকে সচেতন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সচেতন ব্যক্তিবর্গদের এই ব্যাপারে আরো উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এড. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, অধূমপায়ী ও মাদকমুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরী করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। বিভিন্ন দুর্যোগ ও ত্রাণকার্যে স্বেচ্ছাসেবকরা যে পরিমান অংশগ্রহণ করে থাকেন মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করা অপরিহার্য। বাংলাদেশে অনেক অধুমপায়ী এবং মাদকমুক্ত স্বেচ্ছাসেবী আছেন যাদেরকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজে লাগাতে পারে। মাদক বিরোধী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ভলান্টিয়ারদেরকে সরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করা জরুরী। সর্বোপরি স্বেচ্ছাসেবকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
Leave a Reply