নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেও কোরবানির ঈদ ও পশুর হাট বিবেচনায় আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত কঠোর লকডাউন শিথিলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এরপর ২৩ জুলাই (শুক্রবার) থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন। ঈদের সময় অর্থাৎ এই আট দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহন। খুলে দেয়া হবে দোকানপাট, শপিং মল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মঙ্গলবারের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উদ্যাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই ২০২১ তারিখ মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ০৬টা পর্যন্ত আরোপিত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। তবে এ সময়ে সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্কাবস্থায় থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
তবে এসময় বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শপিংমল/মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে এ সময়ে যেসব বিধিনিষেধ মানার কথা বলা হয়েছে
১) সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
২) সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
৩) শপিংমল/মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
৪) সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৫) সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
৬) জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক [বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
৭) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৮) ব্যাংকিং/বিমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
Leave a Reply