1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১০:৩২ অপরাহ্ন

১৮ মাস পর সেপ্টেম্বরের খুলছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বাড়ছে স্কুলের ছুটি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১৯৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় ১৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছুটি আরও বাড়ছে। আগামী নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি নেওয়ার সিদ্ধান্তও প্রায় চূড়ান্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংক্রমণের  পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে আসা পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ফলে স্কুলের ছুটি আরেক দফা বাড়ছে। ডব্লিউএইচও’র মানদণ্ড অনুযায়ী, কোন দেশে সংক্রমণ ৫ শতাংশে নেমে এলে সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সোমবারও দেশে বর্তমানে সংক্রমণের হার ছিল সাড়ে ১৫ শতাংশ। জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, করোনা সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে বা সন্তোষজনক পর্যায়ে না এলে স্কুলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, সংক্রমণ প্রত্যাশিত হারে নেমে আসতে বা টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে আর হয়তো ৫-৬ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। ওই পর্যন্ত অপেক্ষা হয়তো কষ্টকর হবে না। তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষের পাঠদান উন্মুক্ত করতে সবাইকে টিকা দেওয়ার কাজও শেষ করা প্রয়োজন। এ দুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। সেজন্য চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে।

জানা যায়, শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়-প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা একাধিক বিকল্পসহ স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে রেখেছে। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা হচ্ছে,  উচ্চতর থেকে নিচের দিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে খোলা হবে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় সচল হবে। এটা শুরু হবে পরীক্ষা কার্যক্রম দিয়ে। স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার ফাঁকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংক্রমণ নেমে এলে বিশেষ করে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজে ক্লাস কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেওয়া হবে। পাশাপাশি খুলে দেওয়া হবে আবাসিক হল। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৮ সেপ্টেম্বর থেকে মাস্টার্সের স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে। এভাবে অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনটি পরীক্ষা নিচ্ছে, আবার কোনটি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে। প্

রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর কবে খুলে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন, কিন্তু সুনির্দিষ্ট তারিখ বলেননি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যখনই অনুকূলে আসবে, প্রথম সেই সুযোগটুকু আমরা নেব। এছাড়া, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তোড়জোড় চলছে। গেল ১৮ আগস্ট দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পর পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনার পর শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। জুলাই থেকে টিকা কার্যক্রম জোরদার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকা কর্মসূচি দ্রুত এগিয়েছে।

৭ আগস্ট দেওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন লাখ ৬৩ হাজার ২২২ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জন টিকা নিয়েছেন। টিকা নেওয়ার বাকি রয়েছেন প্রায় ৮৪ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত ৩৪ হাজারের বেশি শিক্ষকের মধ্যে ৩০ হাজার টিকা পেয়েছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এক লাখ ৭৯ হাজার ২৬১ শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। যাদের মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৯ হাজার ৯১৪ জন। আর উভয় ডোজ পেয়েছেন ছয় হাজার ৭২ জন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকের ৮৪ ভাগ শিক্ষক-কর্মচারী টিকার আওতায় এসেছেন। দেশে প্রাথমিকের তিন লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৩ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। এর মধ্যে ২০ আগস্ট পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন তিন লাখ তিন হাজার ৩১৯ জন, যা শতকরা ৮৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি চলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..