1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

মেহেরপুরে পূজামণ্ডপগুলোতে মহাষষ্ঠী পালন শুরু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১
  • ৪৯৫ বার পঠিত

তোফায়েল হোসেন, মেহেরপুর প্রতিনিধি:

পূজা হিন্দুদের পালনীয় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। হিন্দুধর্মতে, দেবতাগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তি অথবা অতিথিদের পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। স্থান ও কালভেদে বিভিন্ন প্রকার পূজানুষ্ঠান এই ধর্মে প্রচলিত। যথা, গৃহে বা মন্দিরে নিত্যপূজা, উৎসব উপলক্ষে বিশেষ পূজা অথবা যাত্রা বা কার্যারম্ভের পূর্বে কৃত পূজা ইত্যাদি। তবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এ দুর্গোৎসব।

আজ সোমবার মেহেরপুর জেলার সবকয়টি পূজামণ্ডপে তিথি অনুযায়ী শুরু হয়েছে মহাষষ্ঠী পালন। এরপর রয়েছে মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী এটা সকলের পরিচিত।

এ বছর মেহেরপুর সদর-১৪টি, মুজিবনগর উপজেলা-৮টি ও গাংনী উপজেলা- ২২টিসহ মোট ৪৪টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা তৈরি করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে এরই ধারাবাহিকতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

পূজামন্ডপগুলোতে পোশাকধারী পুলিশ, টহল পুলিশ, সাদা পোশাকে, ডিএসবি ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্যসহ স্বেচ্ছাসেবক টিম মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে অফিসার ইনচার্জ সহ একাধিক মোবাইল টিম তদারকিতে থাকছেন। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে রেজিস্টার মেইন্টেইন করা হচ্ছে। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ তাদের মোবাইল নাম্বার উল্লেখসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উৎসব পালনে অবশ্যই ১০০ ভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

০৮/১০/২০২১ তারিখ থেকে শুরু করে ১৫/১০/২০২১ তারিখ অর্থাৎ প্রতিমা বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, আজ ষষ্ঠী। দেবী দুর্গাকে বোধনের দিন। দেবীপক্ষে ষষ্ঠীতে দুর্গাকে বোধন করে পুজো করেন রাম। দুর্গার বোধন ঘিরে পৌরাণিক কাহিনিও বিদ্যমান। কী ভাবে মহাষষ্ঠী পালিত হয়। এই শব্দটির অর্থ জাগ্রত করা। মর্ত্যে দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। এ দিন কল্পারম্ভ দিয়ে শুরু হয় দুর্গার বোধন। ষষ্ঠীর সকালেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এর সঙ্গে একটি কাহিনিও জড়িত। রাবণের সঙ্গে যুদ্ধের আগে দুর্গার বোধন করেছিলেন দশরথ পুত্র রামচন্দ্র। এর পর দুর্গার আরাধনা করে শক্তি ও সৌভাগ্যের প্রার্থনা করেন তিনি। অকালে দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই একে অকাল বোধন বলা হয়ে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..