লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে লাকসামের শারীরিক প্রতিবন্ধি এক স্কুলছাত্রকে হুইলচেয়ার উপহার দিলেন লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.কে.এম সাইফুল আলম। গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) লাকসাম প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান স্বপনের ফেসবুক পেইজে ‘‘একটি হুইলচেয়ারের আকুতি শারীরিক প্রতিবন্ধি পল্লব মজুমদারের” শিরোনামে একটি লেখা ভাইরাল হয়।

লেখাটি লাকসাম নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আসলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে ওই পেইজবুক পেইজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিবন্ধি স্কুলছাত্রকে একটি হুইলচেয়ার প্রদানের আশ্বাস দেন।

এ ব‍্যাপারে ইউএনও এ.কে.এম সাইফুল আলম উপজেলা প্রকৌশলী মিশুক কুমার দত্তকে একটি হুইলচেয়ার বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করলে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হুইল চেয়ারটি উপকারভোগী ওই শারীরিক প্রতিবন্ধি স্কুলছাত্র পল্লবের বাবা বাবুল মজুমদারের হাতে তুলে দেয়া হয়। ইউএনও’র  উপহার পেয়ে প্রতিবন্ধি পল্লব খুশিতে আত্মহারা।

লাকসাম উপজেলার কান্দিপাড় ইউনিয়নের ছোট চাঁদপুর (চুনাতি) গ্রামের বাবুল মজুমদারের ছোট ছেলে পল্লব মজুমদার জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধি। সে স্থানীয় অশ্বতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। পল্লব মজুমদারের দু’টি পা একেবারে অচল। যানবাহন ছাড়া স্কুলে যাতায়াত করতে পারে না পল্লব। প্রতিদিনের যাতায়াত খরচ মেঠানো অসম্ভব হয়ে পড়ে অসহায় পরিবারটির। ফলে একটি হুইলচেয়ারের আকুতি ছিল পল্লবের।

ফেসবুকের এমন একটি খবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম সাইফুল আলম, উপজেলা প্রকৌশলী মিশুক কুমার দত্ত ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাশ মঙ্গলবার  সকালে পল্লবের বাবার হাতে উপহারের ওই হুইল চেয়ারটি তুলে দেন। হুইল চেয়ার হাতে পেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধি পল্লব মজুমদারের বাবা ও পল্লব মজুমদার লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রকৌশলী ও সমাজসেবা কর্মকর্তার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.কে.এম সাইফুল আলম বলেন, এটি একটি মানবিক কাজ। কোন প্রতিবন্ধি যেন সমাজে অসহায় জীবন যাপন করতে না হয় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধিদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া আমরাও উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের জন্য বিভিন্ন বরাদ্দ রেখে থাকি। এর অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধি পল্লব মজুমদারকে একটি হুইলচেয়ার উপহার দেয়া হয়েছে। এটি পেয়ে সে এখন স্বাচ্ছন্দে স্কুলে আসা যাওয়া করতে পারবে।