মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে নির্বাচন পরর্বতীতে সহিংসতায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাকুড়িয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পাকুড়িয়া গ্রামের আত্তাব উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৫) তার সহোদর দুলাল হোসেন (২৫), নইমদ্দিনের ছেলে আত্তাব উদ্দিন (৬০) তার অপর দুই সহোদর মিন্নাল হোসেন (৫০), আব্দুস ছাত্তার (৫৫)। দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬৫), তার ছেলে ইমাদুল হক (৩৫) সেই সাথে নুহু (২৫) ও নয়ন (২৪) আহত হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২৮ নভেম্বর) গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (পাকুড়িয়া) গ্রামের মেম্বার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন নির্বাচনে বিজয়ী হন। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম রাগে, ক্ষোভে আক্রোশে ফেটে পড়ে। নিজের ক্রোধকে দমন করতে না পেরে আনোয়ার হোসেন প্রতিপক্ষের কর্মী সমর্থকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিজান দুলালকে আত্তাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে বকাঝকা করতে থাকে পরে উভয়ে বাকবিতন্ডা জড়িয়ে পড়ে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। হাতাহাতির খবরে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা ছুটে আসলে তাদের উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ কাপুড়িয়া তাদেরকে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাংনী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply