নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় জয়নগর ইউনিয়নে প্রার্থীর উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করেছে নৌকা সমর্থকরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার থেকে ১০টা মধ্যে শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোক্তার হোসেন’র উপস্থিতিতে পৃথক দুটি স্থানে আনারসের দুটি ক্যাম্পের আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। এসময় নাদিম সরকারের কর্মীদেরকে মারধোর করেছে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় নির্বাচন আচরণ বিধি ভঙ্গ হওয়ায় মোক্তার হোসেনকে অভিযুক্ত করে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাদিম সরকার।
স্থানীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে জয়নগর ইউনিয়নের নৌকার প্রতীকের প্রার্থী মোক্তার হোসেনের নেতৃত্বে রফিকুল ও গোলাপসহ প্রায় ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসহ প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাদিম সরকারের জামগর ফাল্লার টেক এলাকার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে হামলা করে। এই সময় তারা নির্বাচনী অফিসের টেবিল, চেয়ার ভাংচুরের পাশাপাশি অফিসে অবস্থানরত নাদিম সরকারের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আনারস প্রতীকের কর্মী শরীফসহ আট দশ জন গুরুতর আহত হয়। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় ক্যাম্পে থাকা প্রায় ৫০টি চেয়ারও লুট করে নিয়ে যায়।
গুরুত আহত শরিফ বলেন, হামলার সময় নৌকার চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোক্তার হোসেন এবং তার সহযোগীরা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি এবং লাথি মারে। এই সময় আমাকে তারা প্রাণ নাশের হুঁমকিও দেয়।
সেখান থেকে নৌকার প্রার্থী তার দলবল নিয়ে সুজাতপুর নতুন বাজার এলাকায় যায় এবং সেখানেও আনারস প্রতীকের অপর একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা দা, ছুরি নিয়ে আসেন বলে জানান ওই ক্যাম্পে থাকা আনারস প্রতীকের কর্মী আল আমিন।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাদিম সরকার বলেন, নৌকার প্রার্থী মোক্তার হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে আজ আমার দুইটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরসহ নেতাকর্মীদের মারধোর করছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করেছে বলে মনে করি। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। তারা যাওয়ার সময় নৌকা পাশ বলতে বলতে চলে যেতে দেখেছে এলাকাবাসী। আমি নৌকার প্রার্থী মোক্তার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলছি, নৌকা যদি পাশ করে থাকবে বলে মনে করছেন তবে অন্যর ক্যাম্প ভেঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের মারধোর করে, হুমকি-দমকি দিয়ে যাচ্ছেন কেন। আপনি কি ভুলে গেছেন পাশ ফেল নির্ধারণ করবে জয়নগরের সাধারণ ভোটাররা। তাদের উপর রায়ের দায়িত্ব দিয়ে মাঠে আসুন। ৫ তারিখে দেখা যাবে কে পাশ আর কে ফেল।
পরে অভিযুক্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোক্তার হোসেন সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্টো তারাই আমার অফিস ভাঙচুরসহ নৌকা পুড়িয়েছে। আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও এবং এসি ল্যান্ড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খানের যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply