1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১০:১৫ অপরাহ্ন

নরসিংদীতে দিনেদুপুরে বাড়ীতে ঢুকে গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৬৬ বার পঠিত

 নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাড়ির ভেতরে ডুকে মানসুরা আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের সাটিরপাড়া এলাকার সাত্তার ভিলাতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর স্বামী মসিউর রহমান হিমেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

নিহত গৃহবধু মানসুরা আক্তার সদর উপজেলার পাঁচদোনা এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে। একই সাথে সাটিরপাড়া কে কে ইন্সিটিউশন ও কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক মসিউর রহমান হিমেলের স্ত্রী। তিনি নরসিংদী সরকারি মহিলা করেজে অনার্স ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।

নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে সাটিরপাড়া কে কে ইন্সিটিউশন ও কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক মসিউর রহমানের সাথে পাঁচদোনা এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে মানসুরা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের কোল জুড়ে জান্নাতুল নামে ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। প্রতি শুক্রবার সকালে নিহতের স্বামী হিমেল বেলাবো উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুর গ্রামে তার গ্রামের বাড়ীতে যায়। দুপুরে দেড়টার দিকে স্ত্রী মানসুরাকে মোবাইল ফোনে ফোন দেয় তার স্বামী হিমেল। একাধিকবার ফোন দিলেও স্ত্রী ফোন ধরেননি। পরে হিমেল বিষয়টি তার শ্বশুরকে জানায় এবং তাকে তার বাসাতে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে নিহতের বাবা নাতিকে ঘরের বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন পরে ভিতরে ঢুকে মেয়ের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। মেয়ের এ অবস্থা দেখে তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং প্রথমে স্বজনদের এবং পরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়।

এদিকে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের বাবা মজিবুর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, জামাইয়ের ফোন পেয়ে মেয়ের বাড়িতে এসেছিলাম। এসে দেখি মেয়ে গলাকাটা অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। আমার মেয়ের রক্তে পুরো ফ্লোর ভরে ছিলো। খুবই নশংস ও নির্মমভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের ছোট বাচ্চাটা এখন মাকে ছাড়া কীভাবে থাকবে। আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীদের বিচার চাই।

নিহতের ভাই সবুজ বলেন, আমি দেড়টার দিকে বোনকে ফোন দিয়েছিলাম। ফোন আমার ভাগনী ধরেছিলো। সে তখন বলেছিলো মা এখন রান্না করছে ফোনে কথা বলতে পারবে না। পরে বিকালে বোনের মৃত্যুর সংবাদ পাই। আমি  আমার বোন হত্যার বিচার চাই।

নিহতের দেবর জাহিদ বলেন, ভাই-ভাবীর খুব সুখের সংসার ছিলো। তাদের মধ্যে কোন পারিবারিক কলহ ছিলো না। প্রতি সপ্তাহের মতো ভাই আজকে ও গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলো। ভাবী আর ভাতিজী একলাই বাসাই ছিলো। হঠাৎ করে কেমনে কী হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতের মরদেহে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে গলাকাটা ও বাম চোখের উপর গভীর ক্ষত ছিলো। এঘটনায় নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কী কারনে এই হত্যাকান্ড তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে। অচিরেই সব কিছু খোলসা করা সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..