নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদী জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এতে করে হাসপাতাল গুলোতে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

জেলা ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সঠিক স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিনই নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসায় দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছে। এতে করে  চিকিৎসা ব্যবস্হা ভেঙে পড়ার উপক্রম।

জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে RTPCR ল্যাবে ৯৪ টি ও র‍্যাপিড এন্টিজেন ১৩৮ টি সহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৩২ টি। এরমধ্যে ১৩৮ টি র‍্যাপিড  এন্টিজেন পরীক্ষায় শনাক্ত ৫০ জন এবং RTPCR ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জন সহ নতুন করে মোট ১০২ জন শনাক্ত হয়। নমুনার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের গড় হার ৪৩.৯৬% জন।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাড়াল ১২ হাজার ২৯২ জনে।

নরসিংদী জেলা থেকে এ পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৮০৫ জন। এরমধ্যে ৫ জন হাসপাতালে ও বাকী সবাই হোম আইসোলেশনে। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি সন্দেহজনক করোনা রোগীর সংখ্যা ১৮ জন।

জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৬৮২ জন, রায়পুরাতে ৬৩৬ জন, বেলাবোতে ৮১৫ জন, মনোহরদী ৯০৬ জন, শিবপুরে ১ হাজার ৫২০ জন, পলাশে ১ হাজার ৭৩৩ জন।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯২ জন। এর মধ্যে সদরে ৪১ জন, রায়পুরায় ৯ জন, বেলাবতে ৯ জন, মনোহরদী ১১ জন, শিবপুরে ৯ জন, পলাশে ১৩ জন রয়েছেন।

জেলা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি  রোগীর সংখ্যা ৩৪ জন।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নুরুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ রোধ করার একমাত্র উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। একজন করোনা পজিটিভ রোগীর সাথে বসবাসরত পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ অবশ্যই ঘরে অবস্থান করবেন। এই অবস্থানে থাকবে হবে অত্যন্ত ১৪ দিন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোন করোনা উপসর্গ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নমুনা দেবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন|। অসুস্থ বোধ করলে বা নমুনা দেবার পর রেজাল্ট আসার আগ পর রেজাল্ট আসার আগ পর্যন্ত ঘরেই অবস্থান করুন।