রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে ‘অধিকার ‘ প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় সভা করে স্থানীয় এনজিও পাপড়ি।
রবিবার (৩০ জানুয়ারী) বিকালে রায়পুরা প্রেসক্লাব হলরুমে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অধিকার প্রকল্প (পাপড়ী)র সোস্যাল মবিলাইজার মো. সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোস্তফা খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. আলাউদ্দিন, সহকারী হিসাব সমন্বয়কারী মো. ফখরুল আলম, সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. নাজিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম নূরউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন, সহ-সভাপতি এস এম শরীফ মিয়া, প্রকাশনা সম্পাদক একেএম সেলিম, ক্রীড়া সম্পাদক জহির উদ্দিন নাসিম, কার্যকরি সদস্য খন্দকার শাহনেওয়াজ, হারুন অর রশিদ সহ সাংবাদিকবৃন্দ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে জাপানী সহায়তায় বিভিন্ন সেবামূলক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে বেসরকারী সংস্থা পাপড়ি। তারই ধারাবাহিকতায় ‘ অধিকার’ প্রকল্প ২০২১ সাল থেকে রায়পুরার দূর্গম চরাঞ্চলে শিশু শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে।
অধিকার প্রকল্পের সহ সমন্বয়কারী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, চরাঞ্চলের চাঁনপুর ইউনিয়নের ৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৫ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৩৫ জন। এরমধ্যে আবার ৬ জন পিটিআই ট্রেনিংয়ে আছে। শিশু এবং অভিভাবকরা লেখাপড়ার বিষয়ে অসচেতন। তাছাড়া দূর্বল শিক্ষার্থী ও দরিদ্র পরিবারও রয়েছে। তাছাড়াও এ অঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দুরের কথা অভিভাবকরা অনেকেই অবগত নন জন্মনিবন্ধনের গুরুত্ব কতটুকু। তারা শুধু জানেন বিয়ে-শাদী অথবা বিদেশে যেতে জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজন হয়।
পাপড়ির নির্বাহী পরিচালক আবু বাছেদের পরামর্শে চানপুরে জরিপে উঠে আসে শিক্ষার নাজুক অবস্থা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জাপানি সংস্থা শাপলা নীড় এর অর্থায়নে অধিকার নামে শিশু শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করে পাপড়ি। পাপড়ির জরিপে উঠে আসা ৬৫৮ জন দূর্বল ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩৩৫ জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে অতিব প্রয়োজনীয় ভিত্তিতে কাজ করছে অধিকার প্রকল্প। ইউনিয়নের ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯ জন প্যারা শিক্ষক ও ১১ জন এডুকেশন ফ্যাসিলেটিটর নিয়োগ দিয়ে শিশু শিক্ষা কার্যক্রম বেগবান করছে সংস্থাটি। প্রকল্পের মেয়াদকাল ৩ বছর। এই তিন বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক ও সামাজিক সচেতন মানুষকে সম্পৃক্ত করা এবং শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করাই অধিকার প্রকল্পের লক্ষ্য। এছাড়াও গত বছর আগস্ট মাসে পাপড়ির জরিপ করা ৬৫০ টি পরিবারকে আট লক্ষাধিক টাকার ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়।
Leave a Reply