
মো: শাহাদাৎ হোসেন রাজু
নরসিংদীতে সকল আশা-প্রত্যাশাসহ চিন্তা-ভাবনা ও হিসাবকে পিছনে ছাপিয়ে ৩ দিনের গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম ডোজ টিকা প্রদান সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলাবাসী স্বতষ্ফুর্তভাবে টিকা কেন্দ্রগুলোতে এসে টিকাগ্রহণ করায় এ কার্যক্রম সফল হয়েছে বলে জানান নরসিংদী স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন ডা. মো: নূরুল ইসলাম। প্রত্যাশারও প্রায় আড়াই গুণ বেশী মানুষ এ কার্যক্রমের আওতায় এসেছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো: নূরুল ইসলাম জোনাকী টেলিভিশনকে জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্বাবধানে দেশব্যাপী ৩ দিনের গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। নরসিংদীতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।জেলাবাসীর স্বতষ্ফুর্ত অংশগ্রহনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগ সফলভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
তিনি জানান, সারাদেশের ন্যায় নরসিংদীতেও গত ২৬, ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারী এই ৩ দিন নরসিংদী সদর হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট ২৪৬টি পয়েন্টে চলে ১ম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাকেন্দ্রগুলোতে টিকা কার্যক্রম চলে। জেলার ২৪৬টি টিকা কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ভেকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছে। আর এই সকল ভেকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের তা সফল হয়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৭১টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভা মিলিয়ে মোট ৭২ হাজার ৯০০ জন মানুষকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনার টার্গেট নির্ধারণ করে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু জেলাবাসীর সর্বত্র উপস্থিতির কারণে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮০১ জনকে এ গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। যা প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বেশী।
এ কার্যক্রমে স্বতষ্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় জেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এই প্রধান কর্মকর্তা। এছাড়াও এ কার্যক্রম সফল করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়াও এ কার্যক্রমকে সফল করতে ইউপি চেয়ারম্যানরা বিশেষ ভূমিকা পালন করায় তিনি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডা. মো: নূরুল ইসলাম জানান, ১২ বছরের অধিক বয়সের লোকজনকে এ কার্যক্রমের আওতায় এনে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ও বুষ্টার ডোজ প্রদান করা হবে।
এর আগে গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে জেলাব্যাপী মাইকিং করাসহ মসজিদ গুলোতে প্রচারণা চালানো হয়েছিল যার ফলশ্রুতিতে এ কার্যক্রমে জেলার আপামর জনসাধারণ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১ম,২য় ও বুস্টার ডোজসহ এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৩১ লক্ষ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে বলে ও জানান তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply