1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ১০:৩৪ অপরাহ্ন

কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীলগঞ্জ স্টেশনটি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২
  • ১৮৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়িক গুরুত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে উঠে এসেছে কিশোরগঞ্জের নীলগঞ্জের নাম। উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর বাড়ি থাকার সুবাদে, এখানে এসেছেন দেশ-বিদেশের বহু গুণীজন। বর্তমানে নীলগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে নেই কোন ব্যস্ততা নেই কোন কোলাহল শুধু মাত্র কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্টেশনটি।

জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদও আশির দশকে তার ‘এইসব দিনরাত্রি’ নাটকে একটি চরিত্রের নাম রেখেছিলেন ‘সুখী নীলগঞ্জ মামা’। আর স্টেশনটিতেও তিনি শুটিং করেছেন। লেখকের বিভিন্ন বইয়েও এই স্টেশনটির নাম এসেছে একাধিকবার। বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ নীলগঞ্জের এ রেল স্টেশনটি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক ছিল। তবে ২০১১ সালের ৪ জুলাই লোকবল প্রত্যাহার করে হঠাৎ স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েছেন নীলগঞ্জসহ আশপাশের সাধারণ মানুষ। স্টেশন থেকে যাত্রীসেবা থেকে শুরু করে পণ্য পরিবহন কিছুই আর হচ্ছে না। অচল অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে, স্টেশনের অনেক মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনটিতে এখন আর কেউ টিকেট কাটতে বা ট্রেনের সময়সূচি জানতে ভিড় করেন না। ডাকবাক্সটিও চিঠির অপেক্ষায় থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ট্রেন না থামায় সিগন্যাল কক্ষটিও বন্ধ। নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, এই রেলস্টেশনটিকে ঘিরে আশপাশে প্রচুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। এক সময় এখানকার ব্যবসায়ীদের ভালো অবস্থা ছিল। কিন্তু প্রায় একযুগ ধরে স্টেশনটি বন্ধ থাকায়, যাত্রীদের আসা যাওয়াও নেই। ব্যবসাতেও টানাপোড়েন চলছে। স্টেশনটি সংস্কার করে নতুন করে চালুর দাবি জানান তারা।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ স্টেশনটির ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। দেশ-বিদেশের অনেক গুণীজন এ স্টেশন হয়ে যাত্রা করেছেন। চন্দ্রাবতীর বাড়ি ও ইতিহাস জানতে অনেক মানুষ ট্রেনযোগে এখানে আসা যাওয়া করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হঠাৎ স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে স্টেশনটি পুনরায় চালু করার জোর দাবি জানান।

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বলেন, আমার আগে অনেক মাস্টার এখানে ছিলেন। তারা হয়তো স্টেশন বন্ধ হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারবেন। আমার কাছে স্টেশনটি বন্ধ হওয়ার সঠিক তথ্য নেই। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি, লোকবল সংকটের কারণে স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যতে জনবল বাড়লে হয়তো স্টেশনটি পুনরায় চালু করা হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..