1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

নরসিংদীতে ৫জনকে কুপিয়ে ১১লাখ টাকা লুট

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫৬৭ বার পঠিত

নাসিম আজাদ, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি:

নরসিংদীর পলাশে দুই ব্যবসায়ীসহ পাঁচজনকে নির্মম ভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাদের কাছে থাকা ব্যবসার এগরো লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

রবিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামের বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতরা হলেন, ইসলামপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে পাথর ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম (৩৮), কালীগঞ্জ বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী খাইরুল (৩২), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মূসা মিয়া (৫৫), ও তার দুই ছেলে স্বাধীন, (২১) এবং ইমন (১৯)।

এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধায় পাশ্ববর্তী কালীগঞ্জ বাজারে কাপরের দোকান বন্ধ করে পাথর ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম ও তার সহোদর ভাই কাপড় ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম বাড়িতে যাওয়ার সময় পলাশ উপজেলার ইসলামপাড়া বাজারের পশ্চিমপাশে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের পথরোধ করে একই গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুনসুর আলীর ছেলে হুজুর আলী (৪৫), হুজুর আলীর ছেলে শান্ত (২৪), মৃত সামসুদ্দিসের ছেলে ফরিদ মিয়া (৪৩), ফরিদ মিয়ার ছেলে অভি (২১), সামসুদ্দিনের ছেলে রাসেদ (৩৬), জাহাঙ্গীরের ছেলে রাকিব (২৬), হাসেম মিয়ার ছেলে সুচন (২৬) , মুন্না মিয়ার ছেলে অপূর্ব (২২), মৃত সবেতের ছেলে জুয়েল (২২) সহ অজ্ঞাত আরো ৫ থেকে ছয় জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে।

এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে একই গ্রামের মূসা মিয়া ও তার ছেলে ইমন ও স্বাধীনকে বেধরক কুপিয়ে ও ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে সন্ত্রাসীরা।

এ সময় কামরুল ও খাইরুলের সাথে থাকা ব্যবসায়ীক এগার লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

আহত পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। গুরত্বর আহতদের অবস্থা এখনো আশংকাজনক বলে জানিয়ছেন পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এর আগেও তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। সঠিক বিচার না হওয়ায় তারা দিন দির বেশি বে-পোরোয়া হয়ে উঠছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর পলাশ থানার ওসি তদন্ত সফিকুল ইসলাম ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ইলিয়াছ জানান, খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।তদন্তের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মামলা প্রক্রিয়াধিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..