1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে মসজিদের সভাপতি হওয়ার দ্বন্দ্বে খুন, আটক ১৭

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪০৩ বার পঠিত

মোঃ সাইফুল ইসলাম রায়হান, রাজশাহী:

রাজশাহীর চারঘাটে মসজিদের সভাপতি হওয়ার দ্বন্দ্বে দুপক্ষের সংঘর্ষে খোকন আলী হত্যা ঘটনায় ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার পর্যন্ত এজাহারভুক্ত এই আসামিদের আটক করা হয়। খোকন আলী জোতকার্তিক গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের আরও চারজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের জোতকার্তিক আদর্শ গ্রাম জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে কামরুজ্জামান মুকুল ও মুক্তার আলী নামে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কামরুজ্জামান মুকুল ও মুক্তার আলী দুজনেই নিজ গ্রুপের মধ্য থেকে মসজিদের সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য দুই দলে বিভক্ত ছিলেন। কয়েক মাস আগে মুকুলের লোকজন মুকুলকে সভাপতি করে মসজিদের কমিটি ঘোষণা করেন। কিন্তু মুক্তার, সেলিমসহ আলাদা একটি পক্ষ সেই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের লোকজন নিয়ে স্থানীয় এক আমবাগানে অস্থায়ী মসজিদ স্থাপন করে নামাজ আদায় করে আসছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুই পক্ষই ইফতারের আয়োজন করে। আগের ওই বিরোধের জেরে ইফতারের মুহূর্তে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো হাঁসুয়ার আঘাতে মুক্তারের পক্ষের খোকন আলী নিহত হন। এ ঘটনায় খোকন আলীর বাবা মোজাহার আলীসহ মুকুলের পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হন।
চারঘাট মডেল থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মসজিদ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা করেছেন নিহত খোকন আলীর স্ত্রী রুপা খাতুন। মামলায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের প্রধান ও ওই মসজিদের সভাপতি কামরুজ্জামান মুকুলকে প্রধান আসামি করে মোট ৩৮ জনকে আসামি করা হয়।

স্থানীয় নিমপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ওই মসজিদ নিয়ে দুই পক্ষের ভেতর কয়েক মাস ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন জায়গায় দুই পক্ষকে নিয়ে দ্বন্দ্বের সমাধান করতে একাধিকবার বৈঠক করা হলেও তাদের জেদাজেদির কারণে কোনো সমাধান হয়নি। দুই পক্ষই নিজেদের সিদ্ধান্তে সব সময় অনড় ছিল। এ জন্যই শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্বটা হত্যাকাণ্ডে রূপ নিয়েছে।

এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে খুনের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে এজাহারে উল্লেখ থাকা ১৭ জনকে আসামিকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। আটক ব্যক্তিদের আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..