নাটোরের গুরুদাসপুরে চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার পরেও বেতন ও সনদপত্র আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারী সংস্থা “সিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসানাত মোহাম্মদ রেজোয়ান, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ নাজমুল হুদা ও অ্যাসিস্ট্যান্ট একাউন্টস ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানা’র বিরুদ্ধে।

সুপ্রকাশ পাল নামের এক ব্যক্তির বেতন ও সনদপত্র না দেওয়ার কারণে তিনি হয়রানী শিকার হচ্ছেন। ওই ঘটনায় ভুক্তভুগি ব্যক্তি সুপ্রকাশ পাল সোমবার (১৮এপ্রিল) সকাল ১১টায় গুরুদাসপুর মডেল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রকাশ পাল লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, গত ০১/০১/২০০২ ইং তারিখে তিনি স্বিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থা গুরুদাসপুর নাটোর এ শাখা ব্যবস্থাপক পদে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২০ বছরের অধিক সময় চাকুরী জীবনে উক্ত সংস্থায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২৭/০৩/২০২২ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন লাহিড়ী মোহনপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি বিধি মোতাবেক চাকুরীর অব্যহতি পত্র সিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থা,পোগ্রাম হেড কোয়াটার্স দক্ষিণ নারীবাড়ি গুরুদাসপুর নাটোর এর কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ঠ অফিসারদের নিকট দাখিল করেন এবং ৪ মাসের পূর্ণ বেতন, ৩ মাসের আংশিক বেতন এবং বিদেশ ভ্রমন বিল সর্বসাকুল্যে- ৮ লাখ ৫১৭ টাকা সহ সংস্থায় জমাকৃত তার নিজ নামীয় এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্স পাশের মুল সনদ পত্র ও নম্বর পত্রগুলি ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে। বার বার ফেরৎ চাইতে গেলে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শনও করছে। তিনি আইনগত ভাবে এর সমাধন চেয়ে গুরুদাসপুর থানা ও পুলিশ সুপারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তাছাড়াও এই সংস্থা থেকে চাকুরী ছেড়ে দেওয়া কমপক্ষে আরও ৩০-৪০ জন ব্যক্তিকেও একই ভাবে হয়রানী করছেন।
এ বিষয়ে সিধুলী স্ব-নির্ভর সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসানাত মোহাম্মদ রেজোয়ান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট পোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও কেউ রিসিভ করেননি। তবে অ্যাসিস্ট্যান্ট একাউন্টস ম্যানেজার মাসুদ রানা মুঠোফোন রিসিভ করে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে পারবেন না।