কোহিনুর প্রীতি, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কর্মসূচির আওতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত রাষ্ট্র ও জাতি গঠনে দেশের অগ্রগতি, অর্জন, সাফল্য ও লক্ষ্যসমূহের সাথে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং মাদক, গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপপ্রচার, অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে কুমিল্লার লাকসামে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন কুমিল্লা জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে লাকসাম পৌরশহরের দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ নূরুল হকের সভাপতিত্বে ও অফিস সহকারী আরিফ হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত চন্দ্র সাহা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মহিলা সংস্থা কুমিল্লা জেলা কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার, লাকসাম প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান স্বপন, দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য নিমাই সাহা।
মহিলা সমাবেশে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান বলেন, দেশে মাদকদ্রব্য পুরোপুরি নির্মল করা না গেলেও একটি পরিবারের একজন অভিভাবক সচেতন হলেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। একজন অভিভাবক তাঁর সন্তানকে পড়ালেখায় মনযোগী করে সন্তানকে সময় দেয়া এবং ওই সন্তান তার সহপাঠী বা প্রতিবেশী কার সঙ্গে মিশছে ওই দিকে খেয়াল রাখতে পারলেই মাদকের ভয়ানক ছোবল থেকে রক্ষা করে সন্তানের আগামী ভবিষ্যৎ সুন্দর করে গড়ে দিতে সক্ষম হবে একজন আদর্শ অভিভাবক।
জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত রাষ্ট্র ও জাতি গঠনের লক্ষ্যে আজকের শিশুরাই আগামীদিনে দেশের অগ্রগতি, অর্জন ও সাফল্য এনে দিতে সক্ষম হবে। এজন্যে এখন থেকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে অভিভাবকদের। শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একজন অভিভাবক জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি মাদক, গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপপ্রচার, অপরাজনীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে শিশুদের সঠিক জ্ঞানদান করতে পারলেই আজকের শিশু হয়ে উঠবে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
Leave a Reply