নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীতে জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত একাংশের নেতা-কর্মীরা টানা ৩য় দিনের বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সোমাবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ৩ টার দিকে চিনিশপুর গ্যাস অফিসের মোড় থেকে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির চিনিশপুর অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে। পুলিশ তাদেরকে সরিলে দিলে আবার তিতাসগ্যাস রোডে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের হাতে লাঠিসোটা দেখা যায়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকনের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। এ সময় খোকনের বিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তারা। এ দিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক খোকন ও সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী সহ তার অনুসারীরা পদ বঞ্চিত একাংশের নেতা-কর্মীরাদের ধাওয়া করলে পদবঞ্চিতরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং বটতলা বাজারের দিকে অবস্থান নেন। সোমবার বেলা ৩ টার দিকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বেলা ৩ টার দিকে ছাত্রদলের একাংশের নেতা সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ফাহিম রাজ অভির নেতৃত্বে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী নরসিংদী চিনিশপুরে খায়রুল কবির খোকনের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেন। পরে তারা চিনিশপুর তিতাস গ্যাস অফিসের মোড়ে খায়রুল কবির খোকনের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পদ বঞ্চিত গ্রুপের নেতা ফাহিম রাজ অভি বলেন, “অছাত্র, অব্যাহতি প্রাপ্ত ও জেলা বিএনপির সদস্যদেরকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে যা সরাসরি ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রের পরিপ্রন্থী কাজ। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল করে ত্যাগী, পরীক্ষিত ও নির্যাতিত নেতাদেরকে মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার অনুরোধ করছি। অন্যথায়, ছাত্র সমাজ এ কমিটি মানবে না। এ দিকে খায়রুল কবির খোকন বলেন, “আমি জেল থেকে বের হবার একদিন পর ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাঁদেরকে কেন্দ্র ভালো মনে করেছে, তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। অথচ ছাত্রদলের পদ বঞ্জিতদের একাংশ আমার বাসায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা গুলো আমরা সমাধান করবো। নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন,” বিএনপি ও পদ বঞ্চিত ছাত্রদলের একাংশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হলে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
Leave a Reply