স্টাফ রিপোর্টার:
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের প্রান্তিক শিশুদের উন্নয়নে সাংবাদিকদের সাথে এ্যাডভোকেসী সভা করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাপড়ি অধিকার প্রকল্প। পাপড়ি দূর্গম চরাঞ্চলের চানপুর ইউনিয়নে ‘অধিকার’ প্রকল্পের আওতায় শিশু শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে।
শনিবার সকালে রায়পুরা প্রেসক্লাব কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত এ্যাডভোকেসী সভার উদ্বোধন করেন প্রেসক্লাবেরর সভাপতি মো. মোস্তফা খাঁন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পাপড়ির প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. আলাউদ্দীন। তিনি জানান- ১৯৯৯ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে পাপড়ি। ২০২১ সালের মার্চ মাসে রায়পুরার সব থেকে দূর্গম চরাঞ্চল চানপুর ইউনিয়নে জাপানি সংস্থা শাপলানীড় এর অর্থায়নে ‘অধিকার’ প্রকল্পের শুরু। প্রান্তিক শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং ঝরে পড়া শিশুদের স্কুলমুখী করতে তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে পাপড়ির অধিকার প্রকল্প। চানপুরে নয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯ জন প্যারা শিক্ষক এবং ১১ জন এডুকেশন ফেসিলিটেটর শিশুদের স্কুলমুখী করতে কাজ করে যাচ্ছে দুই বছর যাবৎ।
অধিকার প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে চানপুর সবথেকে দূর্গম। এখানে অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে শিশু শিক্ষার অবস্থা খুবই নাজুক। তাই পাপড়ি তার অধিকার প্রকল্পের জন্য এই ইউনিয়নকেই বেছে নেয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের পর চানপুর ইউনিয়নের ৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০৫ জন শিশু বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয়। অধিকার প্রকল্পের প্রচেষ্টায় তদের মধ্যে ৬৬১ জনকে আমরা স্কুলমুখী করতে পেরেছি। ঝরে পড়া ৫৬ জন শিশুর মধ্যে ৪০ জনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। দুঃখের বিষয় চানপুর ইউনিয়নের ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটিতেও প্রধান শিক্ষক নেই। সবই চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। শিক্ষক সংকট প্রকট। তাছাড়া আছে বাল্যবিবাহ এবং জন্মনিবন্ধন নিয়ে অনাগ্রহ, জটিলতা ও আর্থিক হয়রানির অভিযোগ।
সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা রায়পুরার সব থেকে দূর্গম চরাঞ্চল চানপুরে অধিকার প্রকল্পের কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি চরের বাকি ৫টি ইউনিয়নেও অধিকার প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করার জন্য পাপড়িকে আহ্বান জানান।
এ্যাডভোকেসী সভাটি সঞ্চালনা করেন অধিকার প্রকল্পের সোস্যাল মবিলাইজার নজরুল ইসলাম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিকার প্রকল্পের হিসাব রক্ষক মো. ফখরুল আলম, সোস্যাল মবিলাইজার মো. শফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম নূরউদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম শাহীন, দপ্তর সম্পাদক সালেক আহমেদ পলাশ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এ.কে.এম সেলিম, কার্যকরী সদস্য হারুনুর রশিদ, সদস্য মো. বায়েজিদ মিয়া, প্রণয় ভৌমিক, বিনা আক্তার, ফাহিম খান, জুয়েল প্রমূখ।
Leave a Reply