1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ অপরাহ্ন

৪ দিনে ৫০০ ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ১৫৭ বার পঠিত

 

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতাঃ
আবহাওয়া পরিবর্তনে জয়পুরহাটে আশংকাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত এই ৪ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শিশুসহ ৫ শতাধিক রোগী। একসাথে অধিক রোগীর চাপ হওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় গাদাগাদিভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিসকরা বলছেন ডায়রিয়া পানি বাহিত রোগ, এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, অসাবধনতারর কারণেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে।

১৫০ শয্যার জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি রয়েছে ৫০০জন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা ধরণের রোগ। ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়া নানা বয়সীর রোগীর সংখ্যাই গড়ে ৮৫জন। প্রতিদিন গড়ে একশ রোগী ডায়রিয়া অক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এর মধ্যে প্রায় ৬৫ ভাগই শিশু রোগী। জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা। একদিকে ডাক্তার সংকট অন্যদিকে অধিক রোগী ভর্তি হওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরত নার্স ও চিকিৎসকরা। একসাথে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়র স্যালাইন ও ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। পানি ফুটিয়ে পান করাসহ সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আবাহাওয়া পরিবর্তন ও অতিরিক্ত ঠান্ডাতে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও অনেকের চিকিৎসাতেও কমছেনা ডায়রিয়া।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার কেন্দুল, ভেটি, দোগাছী, রাঘবপুর, শালগ্রাম, পুরানাপৈল, জামালগঞ্জ, হিচমী এলাকা থেকে আসা রোগীর স্বজনরা বলেছেন হঠাৎ করে শিশুর গায়ে কাপনি জ্বর শর্দি নিয়ে ডায়রিয়ায় রূপ নিচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেলাইন ও প্রয়োজনীয় ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে না। রোগি নিয়ে সংকটে পড়েছি। ভর্তি হওয়া অপর রোগী ইসলাম, জাহাঙ্গীর, রায়হান কবির বলেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মাত্র ২টি সেলাইন পেয়েছি আর ও কোন ঔষধ পাইনি। সব বাহির হইতে কিনে আনতে হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনতে পারছি না। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।

জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম, বলেন ১৫০ শয্যার জনবল দিয়ে প্রায় ৬শ রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছি। তার ওপরে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের বেড দেওয়া যাচ্ছে না ফলে মেঝেতে ও বারান্দাই গাদাগাদি করে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তার উপর প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ঔষধপত্রের সংকটতো রয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এই অবস্থা দেখা দিয়েছে আমরা রোগিদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের পরামর্শ দিয়েছি। এবং রোগীকে প্রচুর তরল খাবার ও স্যালাইন খেতে হবে। অবস্থা খবুই খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..