স্টাফ রির্পোটার:
নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলাধীন বিশকাকুনী ইউনিয়নের পুটিকা বাজারে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ গরু-ছাগলের হাট বসিয়ে কোটি কোটি টাকা খাজনা আদায় করে আসছে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
এমন অভিযোগ এনে গত রবিবার (৪ জুন ২০২৩) নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন শ্যামগঞ্জ গরু-ছাগলের হাটের ইজারাদার মো. খোকন মিয়া।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে পুটিকা বাজারের দূরত্ব ৪/৫ কি.মি.। যদিও বাজারটি ইজারা ডাকের আওতাধীন। কিন্তু উক্ত হাটে গরু-ছাগলের হাট বসানো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কোন অনুমোদন নাই। অসাধু প্রক্রিয়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ গরু-ছাগলের হাট বসিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাদাঁ আদায় করে নিচ্ছে আবুল কাশেম মন্ডল ও তার সহযোগিরা। এমনকি ভারত থেকে পাচারকৃত গরুসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই গরু এই বাজারে বিক্রি হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এমতাবস্থায় ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে মো. শহিদ উল্লাহ (বাসার মন্ডল) আবুল কাসেম, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মো. আবুবকর সিদ্দিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বধলাকে অভিযোগ আকারে জানালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম ২০২১ সালের ২৪ মে তারিখে ০৫.৪৫.৭২৮৩.০০০.৩৩.১৩৪.২০২১-৪২৮ স্মারকে উল্লেখিত চিঠিতে তিনি পুটিকা বাজারে অবৈধ ভাবে গরুর হাট বসলে তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে খাস আদায় করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় মো. আবুল বাশার খান, পিতা- মো. আব্দুল লতিফ খান, গ্রাম-বাদে পুটিকা, ডাকঘর-যাত্রাবাড়ী, উপজেলা-পূর্বধলা, জেলা-নেত্রকোনা এর অনুকূলে বাংলা ১৪২৮ সনের জন্য (গরুর হাট ব্যতিত) ইজারা পত্তন দেওয়া হয়।
কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হয়েছেন যে, উক্ত বাজারে অবৈধ ভাবে গরু-ছাগল বেচা-কেনা হয়। কাজেই উক্ত বাজারে অবৈধ ভাবে গরু-ছাগলের হাট বসলে তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে নিয়মিতভাবে প্রচলিত বিধি মোতাবেক খাস আদায় করার জন্য বলা হয় এবং আদায়কৃত অর্থ ১৫ দিন অন্তর অন্তর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পূর্বধলা শাখার চলতি হিসাব নং-৬৫ জমা প্রদান পূর্বক আদায় বিবরণীসহ জমা রশিদ উপজেলা অফিসার এর কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য বলা হলেও তা অদৃশ্য কারনে আবারও প্রভাবশালী মহলের কাছে চলে যায়। যা নিয়মবর্হিভূত বেআইনি।
এব্যাপারে শ্যামগঞ্জ গরু-ছাগলের ইজারাদার মো. খোকন মিয়া বলেন, আমি শ্যামগঞ্জ গরু-ছাগলের হাটের বৈধভাবে ইজারা এনে পুটিকা অবৈধ গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারনে লস হচ্ছে। আমি এতটাকা দিয়ে বাজার ডাক এনে সরকারকে খাজনা দিয়ে আসছি।
এব্যাপারে পুটিকা বাজারের ইজারাদার আবুল কাশেম মন্ডল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পুটিকা বাজারের নামে জমি লিখে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়েছি। খুব শীঘ্রই গরু-ছাগলের হাটের অনুমোদন হয়ে আসবে। তার আগে হাট বসিয়ে আমরা পারফরম্যান্স দেখাচ্ছি যা হাট অনুমোদনে প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এর সরকারী মোবাইল নাম্বারে বারবার কল দিলেও মোবাইল ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply