জাহিদ হাসান ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কার্তিক/অগ্রহায়ণ শীতের আগমনী মাস হওয়ায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরির। লেপ তোশকের কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। জনসাধারণ ভিড় জমাচ্ছেন লেপ-তোশকের দোকানে।
শীত জেঁকে বসার আগেই লেপ তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে তোলা, লেপের কাপড় ও মজুরি গত বছরের তুলনায় দাম এবার বেশি বলে জানান লেপ-তোশকের কারিগর ও ক্রেতারা।
বাজারের লেপ তোশক তৈরির এক একটি দোকানে প্রতিদিন ১০/১২টি লেপ তোশক তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে কারিগরদের সংখ্যা। পাশাপাশি শীত বস্ত্র বিক্রির দোকানেও গরমের পোশাক বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে।
ভেড়ামারা বাজারের বাবু বেডিং স্টোরের স্বত্বাধিকারী ও কারিগর মো. বাবু হোসেন জানান, ৫ বছর ধরে লেপ-তোশক তৈরি ও বিক্রয় করে আসছি। এখন আমার প্রতিষ্ঠানে ২ জন কারিগর রয়েছে। এবছর কাপড় তোলার দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘গতবছর ৫/৬ হাত ৭ কেজি তোলার যে লেপ কভার সহ দাম ছিল ১ হাজার ৮শ টাকা। সেখানে এবার ২ হাজার ৬শ টাকা পড়ছে। তবে আমাদের মজুরি বাড়েনি। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি লেপ তৈরি হয়ে থাকে। যত বেশি শীত পড়বে তত লেপের চাহিদা বাড়বে।’
রেল বাজার বেডিং স্টোরের স্বত্বাধিকারী রিয়াজ আলী বলেন, ‘গত বছর লেপের কাপড়ের দাম ৫০ টাকা গজ ছিল। এবছর ৬৫/৭০ টাকা। এছাড়া তোলার দাম ১৫০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা কেজি। অপর দিকে তোশক ছিলো ১২শ টাকা এবার ১৫শ টাকা।’
লেপ তোশক তৈরির কারিগর মো. লিটন বলেন, ‘আমি ১৭ বছর যাবৎ লেপ তোশকের কারিগর হিসেবে কাজ করে আসছি। প্রতি লেপে ১৭০/২০০ শত টাকা মজুরি পায়। শীত বাড়লে আমাদের রোজগার বেড়ে যায়। শীতের প্রকোপ যত বাড়বে সাথে সাথেই লেপ তৈরির ধুম পড়বে।’
লেপ ক্রেতা মাহাম্মুদুল্লাহ সোহেল বলেন, ‘এবার দুইটি লেপ ও একটি তোশক তৈরি করতে দিয়েছি। কিন্তু একবছর আগের তুলনায় এবার লেপের দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দিগুন হয়ে গেছে। কাপড় ও তোলার দাম অনেক বেড়েছে। যেহেতু শীত আসছে লেপ তোশক লাগবেই।’
Leave a Reply