নরসিংদী প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনার পাশাপাশি নরসিংদী জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান সময়ে নরসিংদী জেলার যে কোন স্থানে সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে জন সমাগম নিষিদ্ধ করার করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে কোথাও কোথাও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জন সমাগম হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এর নির্দেশনায় নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার অভিযান পরিচালনা করেছেন।
অভিযানে শহরের জেলখানা মোড়ে খান কমিউনিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শুধুমাত্র বর কনে ও তার পরিবার ব্যতিত সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে দেন। এছাড়া শাপলা চত্তর এলাকায় সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জন সমাগমের খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে সেখানেও উপস্থিত জনগণকে ফিরিয়ে দেন এবং শুধু মাত্র পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া শুক্রবার দুপুরে নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালিতে জনসমাগমের মাধ্যমে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের নির্দেশনায় সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশসহ একটি আভিযানিক দল আলোকবালিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বিয়েকে কেন্দ্র করে যাতে জন সমাগম না হয় সে জন্য বর ও কনে পক্ষকে অনুরোধ জানান। অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিয়ের অনুষ্ঠানে কোন জন সমাগম হবেনা বলে বর ও কনে পক্ষের লোকজন আশ্বাস দেন। এছাড়া নজরপুর ইউনিয়নের দড়িনবীপুর গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি সচিব শাহ আলম উপস্থিত হয়ে জনসমাগম বন্ধের অনুরোধ জানালে বর ও কনে পক্ষের সম্মতিতে বিয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার জানান, বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যখন উদ্ধিগ্ন তখন বাংলাদেশ সরকার সামাজিক আচার অনুষ্ঠান ও জন সমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই আলোকে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এর নির্দেশনায় আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান, যেহেতু করোনা ভাইরাস ছোয়াছে রোগ তাই যাতে সামাজিক আচার অনুষ্ঠান যেমন, বিয়ে, ওরশ, ওয়াও মাহফিল, গান বাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে অতিরিক্ত জন সমাগম না ঘটে তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন।
Leave a Reply