1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডব শুরু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০
  • ১৯০ বার পঠিত

ডেস্ক রির্পোট

বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডব। যার ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটা থেকে সাতক্ষীরায় শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া হালকা বৃষ্টিপাত। ধীরে ধীরে বাড়ছে এর গতিবেগ।

আম্পানের তাণ্ডব প্রসঙ্গে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিন বিল্লাহ জানান, দুপুর থেকে প্রচুর ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়নি। ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে বেগ পেতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে জেলার এক হাজার ২৭২টি আশ্রয় কেন্দ্র। মানুষকে সতর্ক করে চলছে মাইকিং। উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা, পদ্মপুকুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।

যদিও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে আছে উপকূলের মানুষ। শ্যামনগর ও আশাশুনির অন্তত ৩৭টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জীর্নশীর্ন অবস্থায় রয়েছে। যা মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ডাম্পিং করার কাজ অব্যাহত রেখেছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.ন.ম আবুজর গিফার বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝড়ের আগে বৃষ্টি হবে- এটাই স্বাভাবিক। আগেও আমাদের বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সমস্যা হবে না। আমাদের টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার মানুষকে আমরা নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছি। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডের দল প্রস্তুত রয়েছে। মেডিকেল টিমও আমরা প্রস্তুত রেখেছি।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সর্বত্র মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং চলছে। লাল ফ্লাগ উত্তোলন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস দুর্যোগ পূর্ব উদ্ধার করা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে উপকূলের ৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।

জোনাকি টেলিভিশন/এসএইচ আর/১৯-০৫-২০ইং

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..