1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : Monir monir : Monir monir
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৪ অপরাহ্ন

আঁধারেই রয়ে গেল বেসরকারী শিক্ষকদের জীবন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০
  • ১২৭ বার পঠিত
এ.কে.এম সেলিম, সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়

এ.কে.এম সেলিম

দিন যায় রাত আসে।পরদিন সূর্যের আলোয় আঁধার কেটে গেলে আবার আলোকিত হয় পৃথিবী।কিন্তু জীবনের আঁধার কাটে না শুধু বেসরকারী শিক্ষকদের। সরকার যায় সরকার আসে।শিক্ষকদের জীবীকার উন্নয়নে জাতীয়করণের স্বপ্ন দেখায়। ছড়িয়ে দেয় আশার ফুলঝুরি।কিন্তু দিন শেষে আবারও স্বপ্ন ভঙ্গের আঘাতে আহত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায়ই থাকতে হয় জাতি গড়ার কারিগরদের।জাতি গড়ার কারিগর! কত মহান ভাষা! শব্দের সাথেই মিশে থাকে শত সহস্র শ্রদ্ধা।যা শুধু সভা সেমিনারেই নেতারা ব্যবহার করে থাকেন।বাস্তবে কাঁচকলা৷বক্তৃতার অলংকার আর শিক্ষার্থীদের সালামে এখন আর শিক্ষকদের সংসার চলে না।এটা অনুধাবন করানোর জন্যও কি সরকারি নীতি নির্ধারকদেরকে নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে? দেশ ডিজিটাল হয়। শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল হয়।অথচ এনালগ থেকে যায় বেসরকারী শিক্ষকের জীবন-জীবীকা।আজও একজন শিক্ষক বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে আস্তে আস্তে পা ফেলেন আর পকেটে যে টাকা আছে তা দিয়ে কি কিনবেন বির বির করে হিসেব কষতে থাকেন।সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধার ব্যক্তি হয়েও ভাল পোষাক পরিধান করার সামর্থ্য অনেকেরই থাকে না।আমাদের দেশে পারিবারিক বন্ধনটা এখনও অনেকটাই দৃঢ় রয়েছে৷ শহরে কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে।গ্রামাঞ্চলের একজন শিক্ষকের পরিবারে তাঁর বাবা-মা, ভাই- বোন থাকেন।বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য ওষুধ লাগে না এমন পরিবারের সংখ্যা পাওয়া যাবে না বললেই চলে।তারপর আছে শিক্ষকের স্ত্রী সন্তান।একজন এমপিওভুক্ত বেসরকারী শিক্ষক যে টাকা বেতন পায় তা দিয়ে স্ত্রী- সন্তান আর বাবা-মায়ের ভরণপোষণ সম্ভব কিনা তা কি কেউ ভেবে দেখে? বলতে লজ্জা নেই- একমাস ভরণপোষণের জন্য বেসরকারী শিক্ষকরা যে টাকা বেতন পায় আমাদের দেশের উচ্চবিত্ত পরিবারের বাচ্চার ডাইপার খরচও তার চেয়ে বেশি। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও মানুষ গড়ার কারিগর এসব শিক্ষকদের জীবনে স্বাধীনতার স্বাদ আসেনি।আজও দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকদেরকে রাজপথে শুয়ে আন্দোলন করতে হয়। অনশন করতে হয়।বিনিময়ে কখনো পায় পুলিশের লাঠিপেটা, কখনো গরম জল কিংবা টিয়ার গ্যাস।এ দেশে গার্মেন্টস শ্রমিক আর শিক্ষকদের একটা জায়গায় কোন পার্থক্য নেয়।আর সেটা হল উভয়কেই দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হয়।পৃথিবীর অনেক দেশে শিক্ষকদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করলেও আমরা তা শুনতেই নারাজ।সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একজন নাগরিক এ পেশায় নিয়োজিত হয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। অথচ সরকারি দপ্তরের ৮ম শ্রেণী পাশ করা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীও তারচেয়ে বেশি আয় করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আজও অধরাই রয়ে গেল।জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নিকট অনুরোধ কোন আমলার চাটুকারিতা না শুনে বেসরকারী শিক্ষকদের প্রতি আপনার মানবিক দৃষ্টি প্রসারিত হোক। শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করে বেসরকারী শিক্ষকদের একটি বাঁচার মতো জীবন উপহার দিন।আর তা যদি এ বছরই ঘোষণা হয় তবে শিক্ষক সমাজে মুজিব বর্ষ অমর হয়ে থাকবে চিরকাল।

এ.কে.এম সেলিম, সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা)

সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, রায়পুরা, নরসিংদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..