মো. রফিকুল হক রফিক, নরসিংদী:
নরসিংদীর রায়পুরায় পারিবারিক কলহের জেরে গলায় উড়না পেঁচিয়ে শেমা আক্তার (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। নিহত শেমা আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজল ভূঁইয়ার মেয়ে ও শিবপুর আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সে বাড়ির বাথরুমে যায়। পরে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে শেমার মরদেহ দেখতে পায়। এরপর রাতে পুলিশ এসে নিহতের লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের মা রীনা বেগম ও মামা দৌলত জানান, তিনি তার স্বামীর ১ম স্ত্রী। ১ম পক্ষের ২ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে শেমা দ্বিতীয় ছিল এবং ২য় পক্ষের স্ত্রী র্ঝণা বেগমের ৩ ছেলে থাকা স্বত্তেও বর্তমানে র্ঝণা বেগম আবারো গর্ভবতী। ২য় স্ত্রী বিয়ে হয়ে আসার পর পরই শেমার বাবা কাজল ভূঁইয়া তাদের অর্থ্যাৎ ১ম পক্ষের স্ত্রী সন্তানদের ঠিকমতো ভরন-পোষন দেন না বলে অভিযোগ করে তারা। এমতাবস্থায় ১ম পক্ষের ২ ছেলে সন্তানকে রাজমিস্ত্রির কাজে দিয়ে ও মামা দৌলতের সহযোগীতায় কোন রকমে সংসার চলছিলো। এমনকি শেমার বিয়ের সমন্ধ আসলেও বিয়েতে শেমার বাবা কাজল ভূঁইয়া কোন ধরনের টাকা পয়সা দিবেতো নাই বরং শেমার মামার বাড়ি থেকে অর্থ এনে শেমাকে বিয়ে দিতে বলে শেমার বাবা। সম্প্রতি টাকা পয়সার অভাবে কলেজে ভর্তি হতে না পারায় ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা সহ্য করতে না পেরে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বাথরুমে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় নিহতের মা এবং মামা প্রশাসনের নিকট উক্ত ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং রায়পুরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply