1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

রায়পুরায় একটি ক্লিনিকে অদক্ষ ডাক্তারের হাতে প্রসুতীর মৃত্যু, সাড়ে তিনলাখ টাকায় সমাধান

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৮৪ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কামারবাড়ী মোড়ে অবস্থিত আল সাবাহ হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে হাতুরী ডাক্তার দ্বারা সিজার করায় সালমা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত সালমা উপজেলার আদিয়াবাদ পিপিনগর গ্রামের বশির মিয়ার স্ত্রী।

বুধবার সন্ধায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বজনদের চাপে উক্ত হাসপাতালের ডাক্তারসহ মালিক ও কর্মচারীরা হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে রাতারাতি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ স্থানীয় লোকজনকে ম্যানেজ করে নিহতের স্বজনরা যাতে পুলিশি জামেলায় না যায় সে লক্ষে তাদের সাথে সাড়ে তিন লাখ টাকার একটি মৌখিক চুক্তি হয়। যা নিহতের পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হবে। চুক্তির পর পরই প্রতিষ্ঠানটি পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম শুরু করতে দেখা গেছে।

এদিকে, হাসপাতালে অনভিজ্ঞ ডাক্তারের হাতে প্রসূতীর নিহতের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও অজ্ঞাত কারনে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়নি এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।

নিহতের স্বামী বশির মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর মতো আর কারো জীবন যেন হাতুরী ডাক্তারের হাতে দিতে না হয় সেজন্য আইনের আশ্রয় নিতে চাইছিলাম। কিন্তু আমাকে কিছু লোক তা করতে দেয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে সাড়ে তিনলাখ টাকা দিবে বলে আমার শ্বশুর সহ কিছু লোকজন জোড় করে মামলা করতে বাঁধা দেয়। তাই জানাযা শেষে লাশ দাফন করে ফেলেছি। টাকা হাতে পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো পাইনি।

আল সাবাহ হাসপাতালের মালিক বায়েজিদ মিয়া বলেন, পুরুষ ও মহিলা দুজন ডাক্তার সিজার করেছে। তারা দুজনই অভিজ্ঞ। ঐদিন সকালেও আরো দুটি সিজার আল্লাহর রহমতে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনাটিতে ডাক্তারের কোন ভুল ছিলনা। ধারনা করা হচ্ছে রোগী স্ট্রোক করেছে।

রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল বলেন, শুনেছি ঘটনাটি দু’পক্ষের মধ্যে মিমাংসা হয়ে গেছে।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, কিছু দিন পূর্বে উক্ত প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এক ডাক্তারকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছিল। এই ঘটনাটিও আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষন আগে ফেসবুকের একটি পোস্ট নজরে পড়েছে। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..