আবুল কাশেম, চরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি
উদার মানুষিকতার ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন আল-আমিন মিয়া গরিব অসহায়দের সেবা করতেই পছন্দর করেন। সকলে তাকে দানশীল ব্যক্তি হিসেবেই জানেন।
নরসিংদী সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সন্তান আল-আমিন মিয়া। জীবিকার তাগিদে ২০০৩ সালে পাড়ি জমান ইউরোপিয় দেশ স্পেনে। সেই থেকেই তিনি প্রবাস জীবন যাপন করে। তবে যখনই তিনি সুযোগ পান ছুটে আসেন মাটির টানে নিজ গ্রাম আলোকবালির খোদাদিলায়। প্রবাসে বসবাস করলে তার মন সব সময় পড়ে থাকে শৈশবের সেই স্মৃতি বিজড়িত আলোকবালির প্রত্যেকটি গ্রাম। গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষদের কথা। তাই তিনি গ্রামের মানুষদের উন্নয়নের জন্য প্রবাসে থেকেই প্রতিষ্ঠিত করেন আলোকবালী ইউনিয়ন সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। যার মাধ্যমে ইউনিয়নের প্রত্যেকটি মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় অর্ধকোটি টাকা দান করেন। আলোকবালী ইউনিয়নের এমন কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে আল-আমিন মিয়ার সহযোগিতার হাত পড়েনি।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সিনিয়র সহ-সভাপতি, নরসিংদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইন স্পেনের সভাপতি, সদা হাস্যজ্জল ব্যক্তি আল-আমিন মিয়া বিগত করোনা পরিস্থিতি এলাকার অসহায় কর্মীহীন মানুষদের কথা ভেবে তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমের খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে গেছেন। সে সময় তিনি ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে গেছেন। তার বাড়ীতে সাহায্যের জন্য এসে কেই খালি হাতে ফিরে যেতে দেখেনি এলাকাবাসী।
সম্প্রতি জোনাকী টেলিভিশনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি প্রচারে বিশ্বাসী নই, আমি মনে করি করি যাদের অর্থবৃত্ত আছে, আমি চাই তারাও অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়াক।’
আগামী ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক এখনও কয়েক মাস বাকি আছে জনগণ আমাকে চাইলে আসতেও পারি। তবে ইউনিয়নবাসির সেবা করতে পারলেই আমি খুশি ।’
Leave a Reply