1. [email protected] : admi2019 :
  2. [email protected] : খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগ
  3. [email protected] : News : Badol Badol
  4. [email protected] : Mostafa Khan : Mostafa Khan
  5. [email protected] : mahin : mahin khan
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

চলে গেলেন এইচ টি ইমাম, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১
  • ২০০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনেকদিন অসুস্থ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরে জানানো হবে।

কিডনি জটিলতা ছাড়াও বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় অসুস্থ হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার দিবাগত রাত ১ টা ১৫মিনিটে (৪ মার্চ) মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি অইন্না লিল্লাহি রাজিউন)। মৃত্যূকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

মৃত্যূর আগ পর্যন্ত এইচ টি ইমাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এইচ টি ইমামের ব্যক্তিগত সহকারী মো: আকবর জানিয়েছেন, প্রয়াত এইচ টি ইমামের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে পাঠানো আলাদা শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আজীবন কাজ করে গেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য স্বাধীন দেশে সরকার পরিচালনায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো।

রাষ্ট্রপতি মরহুম এইচটি ইমামের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এইচ টি ইমামের পূর্ণ নাম হোসেন তওফিক ইমাম। ১৯৩৭ সালের ১৫ই জানুয়ারি তারিখে টাঙ্গাইল শহরে তার জন্ম। পিতা মরহুম তাফসির উদ্দীন আহমেদ বি.এ. বি.এল. এবং মাতা মরহুম তাহসিন খাতুন।

শিক্ষা জীবনের শুরু রাজশাহীতে এবং পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া ও কলকাতায়। ঢাকা কলেজিয়েট হাইস্কুল থেকে ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৫৪ সালে পাবনা এডওয়ার্ড করেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৫৬ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থশাস্ত্রে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

তৎকালীন নিখিল পাকিস্তানে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে তিনি ১৯৬১ সালে সিএসপি হন। এর আগে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগে লেকচারার পদে কর্মরত ছিলেন। ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন। তিনি ১৯৫২ সাল থেকে পূর্বপাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন এবং প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট হন। ১৯৫২-’৫৪ শিক্ষাবর্ষে পাবনা কলেজ ছাত্র-সংসদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, ১৯৫৪-’৫৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী সরকারি কলেজ ছাত্র-সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬-’৫৭ সালে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের (ডাকসু-র) কমনরুম সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৬২-’৬৩ সালে তিনি রাজশাহী জেলার অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার, ১৯৬৩-’৬৪ সালে নওগাঁর এসডিও, ১৯৬৪ সালে নারায়ণগঞ্জের এসডিও, ১৯৬৫ সালে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা-প্রশাসক, ১৯৬৫-’৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র মন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দিনের একান্ত সচিব, ১৯৬৮-’৬৯ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান সরকারের অর্থবিভাগের উপসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন।

মাঝে ১৯৬৭-’৬৮ সাল লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস-এ অধ্যয়ন করেন। চাকুরিজীবনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সড়ক ও সড়ক পরিবহণ বিভাগের সচিব, প্ল্যানিং ডিভিশনের সচিব, প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য, পিএটিসি-র প্রকল্প পরিচালক এবং যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যনির্বাহী পরিচালক পদের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬-’৯৭ সালে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন এইচ টি ইমাম।

৬০-এর দশকের পূর্ববাংলার রাজনৈতিক অবস্থা তাকে ক্ষুব্ধ করে। সরকারের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত থাকায় তার চোখে পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও সামরিক প্রশাসকদের শোষণ, বৈষম্য, বঞ্চনার রূপ প্রকট হয়ে ওঠে। ’৭১-এর ভয়াল পঁচিশে মার্চ রাতের সংবাদ পাওয়ার আগেই দেশের সংকটজনক পরিস্থিতির কর্মপন্থা নির্ধারণ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংকট মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেন। মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের আহ্বানে পূবাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রশাসনের পদে থেকে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিক পদে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালের ২৬শে আগষ্ট পর্যন্ত তিনি এই পদে আসীম ছিলেন।

বিজয়ের অব্যবহিত পর বাংলাদেশের বিপর্যস্ত প্রশাসন-ব্যবস্থা সচল করে তোলা এবং দেশ পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অন্যান্য সহকর্মী এবং মন্ত্রিবর্গের সঙ্গে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। এই দায়িত্বে সাড়ে চার বছরে তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের নতুন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, করপোরেশন ইত্যাদির রূপরেখা তৈরি ছাড়াও পাকিস্তান আমলের পুরাতন নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতির আমূল সংস্কারে মুখ্য ভূমিকা রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..