নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত কয়েকদিন ধরে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি এ অবস্থা থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিরাপত্তা আগে। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবেনা। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে।

ওইদিন তিনি বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে।

এদিকে দুই মাস পর (৬১ দিন) গত ১০ মার্চ তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়ায় বলে তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ১ হাজার ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। দেশে টানা তৃতীয় দিনের মত হাজারের বেশি করোনার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ দৈনিক শনাক্তের হার ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। দৈনিক শনাক্তের হার গত ৫ জানুয়ারি ছিল ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এরপর কমতে কমতে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে।

শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত নতুন এক হাজার ৬৬ জনসহ দেশে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।আর নতুন ১৩ জনসহ ৮ হাজার ৫১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯ হাজার ১৭২ জন।