নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর মেঘনা নদীতে দুই স্পীডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় হানিফ মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন । এছাড়াও এঘটনায় দেড় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুরে মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার পাহাড়ীয়াকান্দি এলাকার মৃত সুরোজ মৌলভীর ছেলে ও অবসরপ্রাপ্ত বিআরডিবির কর্মকর্তা ছিলেন।
আহতরা হলেন- নিহত হানিফ মিয়ার মিয়ার ছেলের বউ সানজিদা আক্তার (২৭) অপর ছেলে বউ ইমা (২৪), ভাতিজা দুলাল মিয়া (৩০) এবং বেয়াই মোসেন মিয়া (৩২)।
হতাহত সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর পাহাড়ীয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় অপর স্পীডবোটের যাত্রী নাহিদ নামে দেড় বছরের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ নাহিদ মিয়া শহরের বানিয়াছল এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে এবং অপর স্পীডবোটের যাত্রী ছিলেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিকেলে নরসিংদীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে ডাক্তার দেখিয়ে স্পীডবোটে যোগে বাঞ্ছারামপুরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ও শ্রীনগরে মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি স্পীডবোটের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় নাহিদ মিয়া নামে এক শিশু পানিতে পড়ে যায় এবং তার কোনো খোঁজ মেলেনি। ঘটনার পর স্থানীয় নৌ-পুলিশের সহায়তায় আহত হানিফ মিয়াসহ তার পরিবারের সবাইকে নরসিংদী সদরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নরসিংদীর করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, দুর্ঘটনার পর পর নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে। নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। নিহত ব্যক্তির সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply