তুহিন ভূইয়া:- তরমুজ মৌসুমী ফলের মধ্যে অন্যতম । গ্রীষ্ককালীন এই ফলটি বর্তমানে সারাবছরই বাজারে পাওয়া যায়। সকলের প্রিয় ফলের মধ্যে তরমুজ একটি। তরমুজ এই গরমের তৃষ্ঞা মিটায়। প্রতি বছর তরমুজের দাম উঠানামা করলেও এবার মৌসুমের প্রথম থেকে তরমুজের দাম আকাশচুম্বী। বিগত বছর গুলোতে নরসিংদীর স্থানীয় বাজার গুলোতে পিছ হিসেবে বিক্রি করলেও এবার কেজি হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে। রমজানের প্রথমদিকে দাম হাতের নাগালে থাকলেও এখন ফল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম হাক্কাচ্ছেন।
রমজানের আগে (৪- ৬ কেজি) একটি তরমুজ ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকা বিক্রি হলেও প্রথম রমজান থেকে তা বেড়ে বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে ওই একই সাইজের তরমুজ কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা( ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা) দামে বিক্রি হচ্ছে। তরমুজের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে যায়।অনেকের স্বাধ থাকলেও স্বার্ধ্য নেই তরমুজ ক্রয়ের। এমন দামের কারণে সাধারণ মানুষ বলছেন তরমুজ এখন ‘বড় লোকের ফল”।
নরসিংদী বড় বাজার, ভেলা নগর ,পাচদোনা, মাধবদী, ঘোড়াশাল, শিবপুর ,বাড়ৈচা,রায়পুরাসহ জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে তরমুজের দাম আকাশচুম্বী।
নরসিংদী শহরের জেলখানা মোড়ে তরমুজ ক্রয় করতে আসা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “ সকালে বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার সময় ছোট্ট ছেলে তরমুজের বায়না ধরে, বাসায় ফেরার পথে অব্যশই তরমুজ নিয়ে বাসায় ফিরে।কিন্তু বাজারে এসে তরমুজের দাম দেখে আমার মাথায় যেন বাজ পড়েছে। গত ১৫ দিন আগে যে তরমুজ ৩০০ টাকায় কিনেছি আজ তা ৭০০ টাকা চাচ্ছে।”এই দামে ছেলের বায়না পূরন করা আমার স্বাধ্যে নেই।
ঘোড়াশাল বাজারের তরমুজ ক্রয় করতে আসা হাফেজ উদ্দিন বলেন, “সারা দিন রিক্সা চালাইয়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাহার কাম করি। এত দামের তরমুজ কিনমু কেমনে। এইত্তা অহন বড় লোকের খাওন”
নরসিংদী বড় বাজার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মিন্টু ভূইয়া বলেন,নরসিংদীতে ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেট নেই। করোনার কারণে পরিবহন খরচ দ্বীগুনের চাইতেও বেশি হওয়ায় এ বছর তুলনামুলক দাম থেকে তরমুজ দাম একটু বেশি।
নরসিংদী জেলা ভোক্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি। দুয়েক দিনের মধ্যে জেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করবো।
নরসিংদীর অতিরক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কমল কুমার ঘোষ জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি।এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply