নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীতে চাঁদাবাজী মামলার আসামী এলাকার চিহ্নিত ভূমিদর্স্যূ ও চাদাবাজ রূপচাঁন মিয়া (৩৮) এবং তার সহযোগি অপর দুই আসামী মো: খলিল মিয়া (৩৫) ও মো: রমজান আলী নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রূপচাঁন মিয়াকে নরসিংদী শহরের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে তার জবানবন্দি অনুযায়ী অপর দুই আসামী খলিল মিয়া ও রমজান আলীকে শনিবার (১ মে) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার হাজীপুরে ইউনিয়নের বাদুয়ারচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় বিজ্ঞ বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী জজ আদালতের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান। গ্রেফতারকৃত রূপচাঁন মিয়া সদর উপজেলার হাজীপুরে ইউনিয়নের বাদুয়ারচর গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে। সে এলাকার একজন চিহ্নিত ভূমিদর্স্যূ ও চাদাবাজ। আসামী খলিল মিয়া ও রমজান আলী একই গ্রামের যঘাক্রমে মৃত লিয়াকত আলী এবং মৃত মনছুর আলীর ছেলে। মামলার এজাহারে জানা যায়, বাদুরয়ারচর গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী মো: সেলিম ভূঁইয়া বাদুয়ারচর কাচারী বাজারে তার টিন সেট মার্কেট ভেঙ্গে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করলে। গ্রেফতারকৃত আসামী রূপচাঁন এতে বাধা প্রদান করে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ সেলিম ভূঁইয়া দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১৫ মার্চ রূপচাঁন, খলিল ও রমজানসহ আরও অজ্ঞাত ৩/৪ তাকে তার মার্কেটের সামনে একা পেয়ে পূণরায় চাঁদার টাকা দাবী করেন।
এসময় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে কিল-ঘুষিসহ প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। তাদের হাত থেকে বাঁচতে সেলেমি ভূঁইয়া ডাকচিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদশর্ণ করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে সেলিম ভূঁইয়া নরসিংদী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে একটি সি আর মামলা রুজু করেন। যার নং ৩২৩/২০২১ইং। আদালত সেলিম ভূইয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টির যথাযথ তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়।
এদিকে আসামীগণ পলাতক থেকে বাদী সেলিম ভূঁইয়া বার বার মামলা তুলে নিতে তাগিদ দেয় প্রক্ষান্তরে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শণ করে আসছে। শুধু তাই নয় আসামীরা আদালত চত্বরেও বাদীকে মামলা তুলে নিতে বলে নয়তো জামিনে বের হয়ে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
এদিকে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করে শনিবার নরসিংদী জজ আদালতের অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অনামিকা চৌধুরীর আদালতে সোপর্দ করে। বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মন্জুর করে আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
Leave a Reply